বর্তমান সময়ে আধুনিক বিশ্বে ইলেকট্রনিক মেইল বা ই-মেইল যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম। যেকোনো অফিশিয়াল অথবা প্রফেশনাল কাজের জন্য আমরা সাধারণত ইলেকট্রনিক মেইল ব্যবহার করে থাকি।
জিমেইল কি? জিমেইল হল “গুগল মেইল” এটি ইলেকট্রনিক মেইল বা ই-মেইল আদান প্রদানের অন্যতম এবং জনপ্রিয় মাধ্যম।
জিমেইল কবে তৈরি হয়? জিমেইলে তৈরীর আইডিয়া শুরুতে আসে গুগলের সাথে ইন্টারভিউর সময় রাজন শেথের মাথায়। পরবর্তীতে জিমেইল ডেভলপ করেন পাল বোছিট এবং এর অনেক বছর পর এটি সবার সামনে ঘোষণা করা হয়। শুরুর দিকে জিমেইল শুধুমাত্র গুগলের কর্মীদের ব্যবহারের জন্য ছিলো। পরবর্তীতে গুগল ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল সবার মাঝে জিমেইল চালুর ঘোষণা দেয়।
সময়ের সাথে সাথে জিমেইল এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। জিমেইল নতুন ওয়েব ফিচার সামনে এনেছে। মুলত জিমেইল ওয়েব ইউজারদের জন্যই নতুন এই ফিচার সামনে এনেছে গুগল। এর মাধ্যেমে ই-মেল সেন্ড এবং রিসিভ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উন্নত মানের সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
জিমেইল এর ইউজাররা মেল পাঠানোর সময় অন্যদের যুক্ত করার ক্ষেত্রেও বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। নতুন ফিচারের মাধ্যমে মেল পাঠানোর সময় অন্যকে যুক্ত করার সময় ইউজাররা দেখতে পাবেন যে, যাকে যুক্ত করা হচ্ছে, সেই ব্যক্তি সংস্থার বাইরের লোক কিনা।
আসুন এক নজরে দেখে নিই, এই নতুন ফিচার এর ফলে ব্যবহারকারীরা কী কী সুবিধা পাবেন।
১. Gmail-এ কোনও মেল কম্পোজ করার সময় যাকে সেটি পাঠানো হবে, তার নাম এবং ই-মেল অ্যাড্রেস নিয়ে ব্যবহারকারীরা অনেক সময়ই বিভ্রান্তির সম্মুখীন হন। ব্যবহারকারীদের এই ধরনের সমস্যা দূর করতে নিয়ে আসা হয়েছে নতুন অবতার চিপস (New avatar chips)। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা মেল পাঠানোর সময় যাঁকে মেল পাঠাবেন, তার অ্যাকাউন্টটি ভালো করে জেনে নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। নতুন এই ফিচার গ্রুপ এবং একসঙ্গে অনেককে মেল পাঠানোর সময় এরর (Error) সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে।
২. নতুন এই ফিচারের ফলে Gmail-এর মাধ্যমে মেল পাঠানো আরও বেশি সহজ এবং সুরক্ষিত হবে। মেল করার সময় অন্য কারও কাছে যেন সেই মেল না-চলে যায়, আর জন্য Gmail-এর তরফে সেই অ্যাকাউন্টকে আইডেন্টিফাই করা হবে। এক্ষেত্রে আইডেন্টিফাই করতে বিশেষ হলুদ রঙের ব্যবহার করা হবে।
৩. নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে Gmail-এর ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত করার জন্য ডুপ্লিকেট মেল গ্রহীতাকে আইডেন্টিফাই করে তাকে নিজে থেকেই ডিলিট করে দেওয়া হবে। এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিজেদের থেকে আর সেই সব অ্যাকাউন্ট খুঁজে বের করতে হবে না। এর ফলে পরবর্তীতে আর সেই সব ডুপ্লিকেট মেইল গ্রহীতার কাছে যাবে না।
এই মুহূর্তে কেবলমাত্র ওয়েব ভার্সনে এই ফিচার চালু হলেও পরবর্তীতে এটি অধিকতর উন্নত করা হবে।