অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম প্রযুক্তি সময়ের সাথ সাথে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো তাদের শাখা থেকে টাকা উঠানোর চাপ কমাতে এটিএম বুথ ব্যবস্থার উন্নতির উপর অধিক জোর প্রদান করা আসছে। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে যথেষ্ট সচেতনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
এটিএম বুথ মেশিনে এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড আটকে যাওয়া এটিএম ব্যবহারের সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা। অবস্থা বিবেচনায় এই বিষয়টি বেশ বিরক্তির কারণ হতে পারে। এমনকি নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজনে্র সময় এই সমস্যা ভীষণ বিপদেও ফেলে দিতে পারে। বিশেষ করে ব্যাংক বন্ধের দিনে এমন সমস্যা হলে গ্রাহককে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
তাছাড়া যদি এক ব্যাংকের এটিএম কার্ড অন্য ব্যাংকের বুথে আটকে যায় তাহলে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে সমস্যা সমাধান করতে। সুতরাং প্রত্যেক এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীর উচিত এই সমস্যাটি সম্পর্কে আগে থেকে জেনে রাখা এবং সেই অনুযায়ী কার্ড ব্যবহার করা।
এটিএম বুথে থাকা মেশিনে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড আটকে যেতে পারে বিভিন্ন কারণে। এটিএম বুথে কার্ড আটকে যাওয়ার সাধারণ কারণগুলো হলোঃ
এছাড়া বেশিরভাগ এটিএম ভিসা, মাস্টারকার্ড, ইত্যাদি সার্ভিস সাপোর্ট করে। যদি আনসাপোর্টেড কোনো কার্ড মেশিনে ব্যবহার করা হয়, তবে তা আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
এটিএম মেশিনে কার্ড আটকে গেলে সর্বপ্রথম তৎক্ষণাৎ ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার ডিপার্টমেন্টকে কল করে ব্যাপারটি জানাতে হবে।। এটিএম বুথ এর স্থান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে ব্যাংককে অভিহিত করুন। এমন অবস্থায় আপনার হাতে দুইটি উপায় থাকবে – কার্ডটি উদ্ধার করা কিংবা ব্লক করা।
তবে সবচেয়ে ভালো হয় উক্ত কার্ড ব্লক করে দেওয়া। এতে কার্ডটি অন্য কারো দ্বারা ব্যবহারের মত অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ব্যাংক থেকে রিপ্লেসমেন্ট কার্ড ও কার্ডের পিন আপনার রেজিস্টার্ড এড্রেসে ৭ থেকে ১০দিনের মধ্যে পাঠানো হবে।
এছাড়া নিকটস্থ ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করে কার্ড রিপ্লেস করতে পারবেন অল্পসময়ের মধ্যেই। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে নিয়ে যেতে ভুলবেন না।
আবার আপনি চাইলে আটকে যাওয়া কার্ড উদ্ধারের সিদ্ধান্তও নিতে পারেন। মেশিনের লোকেশন ব্যাংকে জানালে ব্যাংক উক্ত কার্ড উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। উদ্ধারকৃত কার্ড আপনার কাছে সরাসরি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, কিংবা ব্যাংকের শাখা থেকেও তুলতে পারেন।
আটকে যাওয়া এটিএম কার্ড রিপ্লেসের প্রক্রিয়া উপরে উল্লেখিত প্রক্রিয়ার মত প্রায় একই। রিপ্লেসমেন্ট কার্ডের ক্ষেত্রে নতুন পিন থাকে, আর কার্ড উদ্ধার করা হলে একই কার্ড থাকে বলে পিন আগের মতোই থাকে।
কার্ডনির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থা দিনেদিনে অধিকতর জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এছাড়া সুবিধার খাতিরে গ্রাহক ও মার্চেন্টগণ কার্ডের ব্যবহারকে অধিক পছন্দ করেন। নিয়মিত কার্ড ব্যবহারকারীদের কাছে তো কার্ড ছাড়া চলা বেশ কঠিন বিষয় হইয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণত বেশিরভাগ বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের সাথে ব্যাংক একাউন্ট খোলা হলে আপনাকে ডেবিট কার্ড দিবে। এটি হতে পারে একটি ভিসা কার্ড বা মাস্টারকার্ড। অথবা অন্য কোনো নেটওয়ার্কও হতে পারে। এর পিন সব সময় মনে রাখুন।
সর্বশেষ মনে রাখবেন কার্ড হারিয়ে গেলে বা এটিএম মেশিনে আটকে গেলে আপনার প্রথম কাজ হবে ব্যাংককে উক্ত বিষয়ে জানানো।