জিমেইল এর মাধ্যমে ইমেইল পাঠানোর সময় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে TLS নামের একটি স্ট্যান্ডার্ড এনক্রিপশন সিস্টেম ব্যবহার করে গুগল। জিমেইল এর জন্য আরো বিভিন্ন নিরাপদ S/MIME এনক্রিপশন রয়েছে, কিন্তু এসব জিমেইল ফিচার ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধিক ব্যবহৃত হয়। জিমেইলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য আরো বেশি নিরাপদ রাখতে ব্যবহার করুন জিমেইল এর কনফডেন্সিয়াল মোড।
২০১৮ সালে কনফিডেন্সিয়াল মোড চালু করে গুগল। এই ফিচার দ্বারা নির্দিষ্ট সময় পর এক্সপায়ার হয়ে যায় এমন ইমেইল পাঠানো যায়, এছাড়া প্রাপক ইমেইল এর কনটেন্ট কপি, ফরওয়ার্ড বা ডাউনলোড করতে পারেনা।
জিমেইল এর কনফডেন্সিয়াল মোড ব্যবহার করা যাবে কম্পিউটারে ও জিমেইল এর মোবাইল অ্যাপ থেকেও। তবে আপনি যে উপায়েই কনফিডেনসিয়াল মেসেজ পাঠান না কেনো, প্রতিবার ইমেইল পাঠানোর সময় আলাদা আলাদা ইমেইলের জন্য ফিচারটি আলাদাভাবে চালু করতে হবে। চলুন জেনে নিই জিমেইল এর কনফডেন্সিয়াল মোড বা গোপনীয় মোড সম্পর্কে বিস্তারিত।
কনফিডেন্সিয়াল মোড এর পপ-আপে Set Expiry এর পাশাপাশি এসএমএস পাসকোড নামে একটি অপশন দেখবেন। এই অপশন চালু করলে যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন তিনি যদি জিমেইল ব্যবহারকারী হন, তবে ইমেইল খোলার জন্য এসএমএস এর মাধ্যমে পাসকোড পাবেন। আবার প্রাপক জিমেইল ব্যবহারকারী না হলে এবং No SMS passcode সিলেক্ট করা থাকলেও ইমেইল এর মাধ্যমে পাসকোড পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপ থেকে জিমেইল এর কনফডেন্সিয়াল মোড ব্যবহার করে ইমেইল পাঠানোর প্রক্রিয়া অনেকটা কম্পিউটারের প্রক্রিয়ার মতই। মোবাইল এর ক্ষেত্রে অপশনগুলো কিছুটা ব্যতিক্রম স্থানে রয়েছে, এটাই হলো পার্থক্য। চলুন জানি মোবাইলে কিভাবে জিমেইল এর কনফডেন্সিয়াল মোড ব্যবহার করতে হয়।
এভাবে বেশ সহজে জিমেইল থেকে কনফিডেন্সিয়াল ইমেইল পাঠানো যাবে। মূলত বিভিন্ন সেনসিটিভ ইনফরমেশন আদান-প্রদানে ব্যবহারের উদ্দেশ্য এই ফিচার রেখেছে জিমেইল।