বর্তমানে স্মার্টফোন কি পরিমাণ জনপ্রিয় তা আলাদা করে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। তার মানে এই নয় যে বাটন ফোন বা ফিচার ফোনগুলোর সময় ফুরিয়ে এসেছে। স্মার্টফোন এর সাথে সমান তালে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে ফিচার ফোন। বর্তমানে অনেক ফিচার ফোনে সাধারণ ফিচারের পাশাপাশি ইন্টারনেট সুবিধাও রয়েছে। এই পোস্টে কথা বলবো এমনই একটি ফিচার ফোন নকিয়া ২২৫ ৪জি সম্পর্কে।
হাতের নাগালে দাম থাকার পাশাপাশি নকিয়া’র ক্লাসিক ডিজাইন হতে পারে এই নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটি কেনার কারণ। আবার নকিয়া কিন্তু অনেক বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড, যার ফলে অন্যান্য ব্র্যান্ড এর চেয়ে নকিয়া বাটন ফোনগুলোর কোয়ালিটি অনেক ভাল বলেই ব্যবহারকারীদের বিশ্বাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত।
নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটিতে চিরচেনা নকিয়া ফোনের ডিজাইন রয়েছে, যার সাথে পেয়ে যাবেন অসাধারণ সব কালার অপশন। গ্লসি ফিনিশ থাকার কারণে অন্য সকল বাটন ফোনের চেয়ে বেশ প্রিমিয়াম দেখায় নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটি। নকিয়া এখানে ক্লাসিক ব্লু, ব্ল্যাক ও মেটাল স্যান্ড কালার অপশন প্রদান করছে। এটি একটি স্মার্টফোন না হলেও ফোনের ডিজাইনের কল্যাণে নন-টাচস্ক্রিন ডিভাইস ব্যবহারে কারো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটিতে ২৪০x৩২০ রেজ্যুলেশনের ২.৪ইঞ্চি ডিসপ্লে রয়েছে। কল ও নাম্বার কি এর উপরে এই ডিসপ্লের স্থান। ফোনের প্লাস্টিক ব্যাক সরালে দেখতে পাবেন ১১৫০মিলিএম্প এর ব্যাটারি মডেল। মজার ব্যাপার হলো ফোনটির অস্ট্রেলিয়ান ভ্যারিয়েন্টে প্রিইন্সটলড মেমরি কার্ড থাকে যা দামে কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।
এই ডিজিটাল যুগে ক্যামেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফিচার। নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটিতে একটি ছোট ০.৩মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে যা থেকে আহামরি আউটপুট আশা করা ঠিক হবেনা। আপনি যদি তেমন একটা ছবি না তুলেন কিংবা ছবি তোলার জন্য আলাদা ক্যামেরা থাকে, সেক্ষেত্রে এই ফোনের ক্যামেরা আপনার জন্য সমস্যার হওয়ার কথা না।
নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটি চলবে সিস্টেম ৩০+ অপারেটিং সিস্টেমে, যা নকিয়া’র অন্যান্য ডিভাইসে ব্যবহৃত কাইওএস এর চেয়ে অনেকটা ভিন্ন। কাইওএস এর চেয়ে এস ৩০+ এর কার্যক্রম অনেক বেশি বহুমুখী এবং বেসিক সফটওয়্যার ফিচারের পাশাপাশি ফেসবুক অ্যাপ ও ইন্টারনেট ব্রাউজারের মত সুবিধাও প্রদান করে।
ফোনটির ১গিগাহার্জ প্রসেসর শুধুমাত্র নির্দিষ্ট অ্যাপ চালাতে পারে, যার ফলে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইন্সটাগ্রাম এর মত অ্যাপ এই ফোনে চলবেনা। ফোনটিতে রয়েছে Snake এর মত ক্লাসিক গেমের পাশাপাশি Crossy Road এর মত জনপ্রিয় গেম। রয়েছে ব্যাসিক ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধা।
বলে রাখা ভালো যে, নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটিতে কোনো ধরনের ওয়াইফাই কানেকটিভিটি সুবিধা নেই। সুতরাং ভ্রমণের সময় ভারী ইন্টারনেট ব্যবহার বাদ দিতে চাইলে এই ফোনটি আদর্শ সঙ্গী হতে পারে।
ব্যাটারি ড্রেইন করে এমন অ্যাপ অনুপস্থিত থাকায় নকিয়া ফিচার ফোনগুলো তাদের অসাধারণ ব্যাটারি লাইফের জন্য পরিচিত। এইচএমডি গ্লোবাল দাবি করছে একবার ফুল চার্জ করলে সিংগেল সিমে একটানা ২৪দিন ও ডুয়াল সিমে একটানা ১৬দিন স্ট্যান্ডবাই থাকবে ফোনটি। সিংগেল সিমে একটানা ১৯ঘন্টা কথা বলা যাবে। নকিয়া’র আগেরকার রেকর্ড ঘেটে দেখলে এসব দাবি ফেলনা মনে হবেনা। ফিচার ফোনে করার মত আহামরি কোনো এক্টিভিটি নেই, তাই ফোনগুলো থেকে দাবি করা ব্যাটারি লাইফ পাওয়া গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটি দেশের বাজারে ৪হাজার টাকার আশেপাশে পেয়ে যাবেন। বলে রাখা ভালো নকিয়া ২২৫ ৪জি ফোনটির সকল ফিচার সেই আগেরকালের ফিচার ফোনের মত, বর্তমানের ফিচার ফোনগুলোর সাথে তেমন একটা মিল নেই এই ফোনের। তবে আপনি যদি সাধারণ টেক্সট বা কল এর জন্য একটি ফোনের খোঁজে থাকেন, তবে নকিয়া ২২৫ ৪জি আপনার জন্য অসাধারণ ফোন হতে পারে।