ধরুণ, আপনি ফার্মেসিতে গেলেন ঔষধ কিনতে। কিন্তু আপনার যে ঔষধটি প্রয়োজন তা নেই সেখানে। ফার্মেসির লোকটি আপনাকে ভিন্ন একটি কোম্পানির ঔষধ দিয়ে বলল এটি আপনার চাওয়া ঔষধের মতই কাজ করবে, বিকল্প ঔষধ। তবে বিকল্প ঔষধটি ঠিক কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় পড়তে হয় কারণ অনেক সময় ভুল ঔষধও দিয়ে থাকেন অনেকেই। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফোনে ইনস্টল করে রাখতে পারে ডিআইএমএস অ্যাপটি।
এছাড়াও ডাক্তার কোন ঔষধ দিল, এই ঔষধের কাজ কী? এ সবই জানা যাবে ডিআইএমএস অ্যাপ এ। ডিআইএমএস অ্যাপটির পূর্ন নাম ‘ড্রাগ ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। ঔষধের রেফারেন্সের জন্য এটি বাংলাদেশের প্রিমিয়ার মোবাইল ড্রাগ ইনডেক্স অ্যাপস।
এক নজরে অ্যাপটির ফিচার সমূহ
অ্যাপটিতে রয়েছে ঔষধের বিস্তারিত সবকিছু। যেখানে পাওয়া যাবে সেটার ব্যবহার নির্দেশিকা, ডোজ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সতর্কতা। এছাড়াও রয়েছে এফডিএ প্রেগনেন্সি ক্যাটেগরি, থেরাপি ক্লাস, প্যাক সাইজ এবং দাম।
অ্যাপটির মাধ্যমে ঔষধ সার্চ করার অপশন রয়েছে। যেখানে নাম, ব্র্যান্ডের নাম দিয়েও সার্চ করা যাবে। এ থেকে জেড পর্যন্ত অক্ষর দিয়ে ঔষধের নাম রয়েছে। ক্লাস ভেদে ঔষধের বিবরণ ও নাম রয়েছে। এবং অবস্থা ভেদেও রয়েছে নাম। বেশি ব্যবহৃত ঔষধগুলোও বুকমার্ক করা রয়েছে এবং সেখানে ব্র্যান্ডের নামও লেখা আছে।
আসলে দেশের সকল মেডিসিন কোম্পানির ওষুধ সম্পর্কে জানাবে এই অ্যাপ। অ্যাপটিতে ওষুধের ব্র্যান্ড, জিনেরিক নাম এবং ওষুধের নির্দেশিকা রয়েছে। ডাক্তার, নার্স এবং মেডিক্যাল রিপ্রজেন্টেটিভদের কাছে অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। অ্যাপটিতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ওষুধের ধরন অনুযায়ী বিভাগে করে বিভিন্ন ওষুধের তথ্য রয়েছে। চাইলে পছন্দের ওষুধটি প্রিয় তালিকায় যুক্ত করা যাবে। তারপর সেখানে থেকে পরবর্তীতে ওষুধটি সম্পর্কে দেখা যাবে।
মেডিক্যাল বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা অনুষ্ঠানের খবর পাওয়া যাবে অ্যাপটিতে। ব্যবহারকারীরা যেন অ্যাপটিতে নিজেদের ফিডব্যাক দিতে পারেন সেই সুবিধাও রয়েছে এতে।
প্রতি মুহূর্তে আসা নতুন ঔষধের তথ্য যোগ হচ্ছে অ্যাপটির ডেটাবেইসে। এতে ২০ হাজারের বেশি ব্র্যান্ড এবং ১৪০০টির বেশি জেনেরিক ওষুধ রয়েছে। অফলাইনেও কাজ করবে অ্যাপটি। এছাড়া অ্যাপের ইউজার ইন্টারফেইসও খুবই সুন্দর ও সহজ।
ডাউনলোড
এই ঠিকানা থেকে অ্যাপটি সহজেই ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। ১৯ মেগাবাইট সাইজের অ্যাপটির রেটিং ৪.৫ এবং এটি ৫ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে গুগল প্লে স্টোর থেকে।